শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলায় দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বুদ্ধকরণ সভা-
"দেশী মাছ রক্ষা পেলে,
খাদ্য পুষ্টি দু- ই মিলে "
এই
প্রতিপাদ্যের মধ্য দিয়ে শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলায় দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দিনব্যাপি নওপাড়া ইউনিয়নে উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয় ।
০৯/০২/২০২৩ খ্রিস্টাব্দ তারিখ রোজ - বৃহস্পতিবার নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জনাব মোঃ জাকির হোসেন মৃধা, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা(অ.দা.), নড়িয়া, শরীয়তপুরের সভাপতিত্বে উদ্ভদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব প্রনব কুমার কর্মকার, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, শরীয়তপুর ।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জনাব আদিল মুন্সী, সভাপতি, সুরেশ্বর মৎস্য আড়তদার সমিতি,নড়িয়া, শরীয়তপুর।
এবং ভার্চুয়ালে মূল-প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের মনিটরিং আফিসার জনাব আসলাম হোসেন শেখ ।
তিনি বলেন, দেশীয় মাছ ও শামুক সংরক্ষনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক ইচ্ছায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রনালয়।
তিনি আরো বলেন যে, মাছ ও শামুক চাষের পাশাপাশি খামারিদের মুক্তা চাষ করার সুযোগ রয়েছে। এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে। দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মৎস্য সংরক্ষণের পাশাপাশি মৎস্যজীবীদের বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে।
মৎস্যজীবীদের নিষেধাজ্ঞা কালীন সময়ে কাজের ধরন পরিবর্তন প্রয়োজন বলে তিনি তুলে ধরেন। মাছ ধরার পাশাপাশি অন্য কাজের আগ্রহ থাকলে নিষেধাজ্ঞা কালীন সময় মৎসজীবীদের জীবন যাপনের সমস্যা হবে না বলে তিনি ধারণা করেন।
দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দেশের ৩ বিভাগে ১০টি জেলায় ৪৯ উপজেলায় এ প্রকল্প চলমান রয়েছে। তার মধ্যে শরীয়তপুর জেলার সকল উপজেলা এ প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ২০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প আগামী ২০২৪ সাল নাগাদ চলমান থাকবে।
এ প্রকল্পের আওতায় ১৫ হাজার জেলেদের প্রশিক্ষণ দিয়ে মৎস্য চাষে আগ্রহী করে তোলা হবে। ৩০ হাজার জেলেদের বিকল্প পেশায় নিয়োজিত করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে আগের চেয়ে ১৬ ভাগ বেশি মাছ বৃদ্ধি পাবে বলে জানান।
বাস্তবায়নে- উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়, নড়িয়া, শরীয়তপুর ।